মেলাসমা কি? ত্বকে কি হতে পারে ? এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

মেলাসমা কি?
মেলাসমা ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা। এর কারণে ত্বকে ছোপ ছোপ সাদা কিংবা কালো রঙের দাগ পড়তে পারে। কালো রঙের দাগ বেশি পড়ে থাকে সাদা দাগ তুলনামূলকভাবে কম পড়ে। গর্ভবতী মহিলাদের মেলাসমা বেশি হয়ে থাকে । গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এটাকে বলা হয় Chloasma ।এই ত্বকের সমস্যা টি পুরুষের তুলনায় মহিলাদের বেশি হয়। আমেরিকান অ্যাক্যাডেমি অফ ডার্মাটোলজি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে 100 ভাগের মধ্যে 90 ভাগ মহিলাদের মেলাসমা হয়।
মেলাসমা লক্ষণ
মেলাসমার কারণে ত্বক ভিন্ন রং ধারণ করে । সাধারণ ত্বকের কালারের থেকে এটা একটু বেশি কালো হয়ে থাকে। সূর্যের আলো শরীরের যে অংশে পড়ে সেখানে মেলাজমা হতে পারে। সাধারণত শরীরের কোন অংশে বেশি হতে পারে
- গালে
- কপালে
- নাকে
- থুতনিতে
এছাড়াও এটা ঘাড়ে এবং বাহুতেও হতে পারে। মেলাসমা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় কিন্তু এটা আপনার মনবল কে কমিয়ে দিতে পারে।
মেলাসমার কারন
এটা এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে জানা যায়নি কেন মেলাসমা হয়ে থাকে। ধারণা করা হয়ে থাকে জন্মনিরোধক ওষুধ, প্রেগনেন্সি এবং হরমোন থেরাপির জন্য বেশি হয়। সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকের কোষে পড়লে পিগমেন্টকে ট্রিগার করে এর কারনেও হয়ে থাকে।
মেলাসমার এর চিকিৎসা কি?
কিছু মহিলাদের মধ্যে দেখা গেছে মেলাসমা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে গেছে। কিছু ক্রিম আছে যেগুলো ডাক্তার প্রেসক্রাইব করে থাকে। যার ফলে ত্বকের কালো আক্রান্ত স্থান সাদা হয়ে মিশে যায় ত্বকের সাথে। আবার ডাক্তার টপিক্যাল স্টোরয়েড জাতীয় ক্রিম সাজেস্ট করে থাকে। এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করার পর যদি ঠিক হয়ে যায়। এটা গ্যারান্টি দেওয়া যাবেনা যে এটা আবার হবে না । ত্বক ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও আবার নতুন করে মেলাসমা হতে পারে।
মেলাসমার সাথে মোকাবেলা করা
- মেকআপ করে আক্রান্ত স্থান ঢেকে রাখবেন। যাতে কেউ দেখবে এটা ভেবে আপনার মনোবল ভেঙে না যায়
- ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ নিয়মিত প্রয়োগ করবেন
- সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন যেটাতে SPF 30 আছে