প্যারাসিটামল ( Napa ) কেন খাবেন? কেন খাবেন না?
প্যারাসিটামল হল আমাদের হাতের কাছে থাকা ম্যাজিক ড্রাগ। মাথা ব্যথা থেকে শুরু করে পায়ের ব্যথা- সব ব্যথাতেই ব্যবহার হচ্ছে এই ওষুধ। পাশাপাশি জ্বরের ক্ষেত্রে এটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে
সাধারণত এই ওষুধটি প্যারাসিটামল নামেই পাওয়া যায়। এই ওষুধের মুখ্য উপাদান হল প্যারাসিটামল। এই ওষুধের পাওয়ার হতে পারে বিভিন্ন। এই ওষুধটি কেনার জন্য কোনও প্রেসক্রিপশন লাগে না। যে কোনও মানুষ সহজেই এই ওষুধটি কিনে নিতে পারে। কেনার পরই শুরু করা যায় ওষুধটি খাওয়া। তবে এভাবে রোজদিন ওষুধটি খেলে সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে হতে হবে সতর্ক।
প্যারাসিটামল কী?:
প্যারাসিটামল হলো প্রদাহবিরোধী রাসায়নিক পদার্থ। নাম এসিটামিনোফেন। এটি জ্বর ও ব্যথা-বেদনা কমাতে সাহায্য করে। রোগ নিরাময়ে প্যারাসিটামলের কার্যকারিতা বাড়াতে বা ত্বরান্বিত করতে এর সঙ্গে বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করা হয়, যেমন ক্যাফেইন, ডি-এল মেথিওনিন ইত্যাদি। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, ডি-এল মেথিওনিন ব্যবহার করলে তা উপকারের তুলনায় ক্ষতিই বেশি করে।
নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে:
- ব্যাথা
- জ্বর
- মাথাব্যথা
- মাসিকের সময় ব্যথা
- দাঁতে ব্যথা
নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল দেওয়া উচিত নয়:
- প্যারাসিটামল থেকে অ্যালার্জি
- কিডনি রোগ
- গুরুতর লিভার রোগ
- মদ্যপানে আসক্তি
- কম রক্তের প্লেটলেট সংখ্যা
- লিউকোপেনিয়া
- অপুষ্টি
প্যারাসিটামলের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিম্নরূপ:
- অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া, যা ফোলা এবং ফুসকুড়ি হতে পারে
- নিম্ন রক্তচাপ
- দ্রুত হার্টবিট।
- ফ্লাশিং
- রক্তের ব্যাধি, যেমন লিউকোপেনিয়া
- যকৃতের ক্ষতি
- কিডনির ক্ষতি
প্যারাসিটামল ওভারডোজের লক্ষণগুলো
- বমি বমি ভাব
- বমি
- ঘাম
- ক্ষুধামান্দ্য
- পেট ব্যথা
- ক্লান্তি
- গাঢ় প্রস্রাব
- ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া